সুস্থ হোন, সুস্থ থাকুন
এডিসন
যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা আজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলেও শরীরের যত্ন,
খাদ্য বিচার ও রোগ ঠেকানোর ব্যাপারেও এখনও যথেষ্ট সচেতন নই। তাই বিভিন্ন
মানবদরদী চিকিৎসক ও গবেষকের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে এই লেখা।
০১.
উপযুক্ত
ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস এবং প্রফুল্ল মনই হচ্ছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। আসলে
আমাদের জীবনে এত দুশ্চিন্তা বা টেনসন থাকে যে, আমরা হাসি খুশি থাকতে পারি
না। অথচ কথায় আছে, ক্যান্সার যত না কবর ভরেছে তার চেয়ে বেশি ভরেছে টেনসনে।
সুতরাং ভালোভাবে বাচঁতে চাইলে মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। এ জন্য ভালো চিন্তা
ও ভালো কাজের কোন বিরোধ নেই। সেই সাথে নিজেকে জড়াতে হবে কোন সৃজনশীল কাজের
সাথে।
০২.
চার
বছর বয়স থেকেই ব্যায়াম শুরু করা উচিৎ। ব্যায়াম অনেক রকম। যেমন
হাঁটা,সাতাঁর কাটা ও দৌড়ঝাঁপ ইত্যাদি ব্যায়াম,সাইকেল কিংবা অন্যান্য
যন্ত্রপাতি চালিয়ে ও ভারী কিছু ওপরে তোলার মাধ্যমে ব্যায়াম ,দেহের
অঙ্গপ্রতঙ্গ মালিশের দ্বারা ব্যায়াম এবং দেহকে বিশেষ ভঙ্গিমায় রেখে যোগ
ব্যায়াম। সব ব্যায়ামেই উপকার হয়। তবে বয়স,শারীরিক অবস্থানুযায়ী
প্রয়োজন,পরিবেশগত সুবিধা,সময়ের সীমাবদ্ধতা ও মানসিক প্রবনতার কথা ভেবে
ব্যায়াম বেছে নেয়া ভালো। কিন্তু কিছু ব্যায়াম আছে যা একেবারে শয্যাশায়ী বা
চলাফেরায় অক্ষম না হলে সবার পক্ষেই করা সম্ভব। এ লেখায় সেগুলোর উপর জোর
দেয়া হয়েছে।
০৩.
প্রতিদিন
৪৫ মিনিট জোরে হাঁটুন। একবারে না পারলে কয়েকবারে। এতে দেহের সমস্ত
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নমনীয় থাকে ও মগজে প্রচুর অক্সিজেন ঢোকায় দুশ্চিন্তা কমে।
হাঁটায় মহিলাদের ঋতু বন্ধজনিত হাড়ক্ষয় এবং অন্যান্য জটিলতাও রোধ হয়।
০৪.
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
নড়াচড়া এবং মালিশ করা ভালো ব্যায়াম। কারণ এতে রক্ত সঞ্চালন সহজ হওয়ায়
চর্বি জমতে পারে না। এখানে দেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে মালিশের উল্লেখ
করা হলো যার দ্বারা কাছের তো বটেই,দূরের অংগ প্রত্যঙ্গও উপকৃত হয়।
ক) যখনই সম্ভব পুরো মাথা মালিশ করলে মাথায় ভালোভাবে রক্ত চলাচল মগজ তথা স্নায়ুকেন্দ্র ভালো থাকে ও সহজে চুল পড়ে না কিংবা পাকে না।
খ) প্রত্যহ ১০ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ভেজা কপাল মালিশ করলে শারীরিক বৃদ্ধির জন্য দ্বায়ী পিটুইটারি গ্রন্থি সতেজ থাকে।
গ) কানের সামনে পেছনে মলিশ করলে এবং কানের লতিসহ কান মোচড়ালে পাকস্থলী ভালো থাকে।
ঘ) নাকের ডগা হাতের তালু দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডললে কিডনি সবল থাকে।
ঙ) শরীর ও মনের প্রথম শিকার হচ্ছে ঘাড়। কজেই ঘাড় মালিশ করলে এবং মাথা ওপর নিচ ও চারপাশে হেলিয়ে ঘোরালে ঘাড় নমনীয় থাকে।
চ) চোয়ালের নিচে গলার দু’পাশে মালিশ করলে থাইরয়েড ও টনসিল গ্রন্থি ভাল থাকে।
ছ) কনুইয়ের জোড়ায় হালকা চাপ দিলে এবং কনুই ও কবজির মাঝখানে স্বাভাবিকভাবে মালিশ করলে হাত খুব সচল থাকে।
জ) নাভির চারপাশে মালিশ করলে দুশ্চিন্তা কমে এবং চিৎ হয়ে এটি করলে সহজে আন্ত্রিক গোলযোগ হয় না।
৫.
শুয়ে পেটের উপর দু’হাত রেখে গভীরভাবে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে পেট ফুলিয়ে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে এবং দিনে ২০ মিনিট এটি করলে ভালো ঘুম হয়। দেহের সার্বিক শক্তি বৃদ্ধি ও তারুন্য ধরে রাখার জন্য একটানা যতক্ষণ পারা যায় মলদ্বার সংকোচন করা এবং ছেড়ে দেয়া খুবই ভালো একটি ব্যায়াম ।
০৬.
স্নায়ুতন্ত্রের একটি বড় অংশ শেষ হয়েছে হাতের তালুতে ও পায়ের তলায়। এ জন্য হাততালি দিলে চোখের ছানি দূর হয়,উচ্চ রক্তচাপ কমে এবং স্মরণশক্তি বাড়ে। পায়ের তলা কর্কশ কোন কিছু,ধুন্দুলের ছোবড়া কিংবা প্লাস্টিকের ব্রাশ দিয়ে দিনে মোট ২০ মিনিট ঘষলে দেহের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গই উদ্দীপ্ত হয় , সতেজ থাকে এবং রোগাক্রান্ত হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়। বিশেষত অনিদ্রা,হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধে এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থায় খুব উপকার পাওয়া যায়। পায়ের তলা ঘষার পর আঙ্গুলগুলো ওপর নিচ করে টানুন।
০৭.
মুখ ধোয়ার সময় চোখে পঁচিশ বার পানির ঝাপটা দিন। নাক দিয়ে পানি যতটা পারা যায় টানুন ও ছাড়ুন। এতে সহজে সর্দি-কাশি হবে না। উপরন্তু এটি মাথাব্যথা,সাইনোসাইটিস ও মাইগ্রেইনে খুব উপকারী।
০৮.
আমাদের উপমহাদেশে উদ্ভাবিত যোগ ব্যায়াম আজ সারা পৃথিবীতে সমাদৃত,অথচ আমরা অনেকে এ বিষয়ে অজ্ঞ। তবে যোগ ব্যায়াম উপর অনেক সুলিখিত বই আজকাল পাওয়া যায়। এসব পড়ে এবং সম্ভব হলে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সঠিক ধারনা পেতে পারেন। এ ব্যায়ামের মূল বৈশিষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন দেহ ভঙ্গিমা যাকে আসন বলা হয়। এক-এক আসনে দেহে এক-একভাবে চাপ পড়ে যা দেহের এক এক অংশের উপকার সাধন করে। এসব আসনে কিছুক্ষণ থাকার পর একটি বিশেষ আসনে বিশ্রাম নিতে হয় যাকে বলে শবাসন।
০৯.
মনকে চিন্তামুক্ত রেখে বালিশ ছাড়া চিৎ হয়ে হাত ছড়িয়ে শুয়ে শবাসন করতে হয়। সকালে ঘুম ভাঙ্গলে লাফিয়ে বিছানা থেকে না উঠে কিছুক্ষণ শবাসন করুন। এতে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। প্রতিদিন আধঘন্টা শবাসন করলে মেরুদণ্ড ভাল থাকে, অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ সহ্য করা যায় এবং দেহের যেকোন ব্যাথা ও লুকানো সমস্যা দূও হয়। উল্লেখ্য, মেরুদণ্ড ও পাঁজরের হাড়ের মজ্জা থেকে বেশির ভাগ রক্ত উৎপন্ন হয়।
১০.
সকালে নাস্তারআগে আরও দুটি যোগাসন করুন : পবনমুক্তাসন ও ভুজঙ্গাসন। রতে খাবার হজম হওয়ার সময়ে পেটে জমে উঠা বায়ু যাবতীয় রোগের এক-তৃত্বীয়াংশের জন্য দ্বায়ী। ওপরের দু’টি আসন পেট বায়ুমুক্ত করে ও হজম শক্তি বাড়ায়। পবনমুক্তাসন হাঁপানি, পিঠ ও কোমর ব্যথা এবং বহুমূত্র বা ডায়বিটিস রোগের জন্য উপকারী। ভুজঙ্গাসনও সবরকম পিঠ ও কোমর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ত্রীরোগ উপসম করে। খাওয়ার পর বজ্রাসন ছাড়া আর কোনো যোগাসন করা যায় না। বজ্রাসন হজম ও সুনিদ্রা সহায়ক এবং কোমর থেকে পা পর্যন্ত দেহাংশ মজবুত রাখে।
১১.
এবার খাদ্য প্রসঙ্গ এটি খুব স্পর্শকাতর বিষয়, কারন আমরা অনেকে বাচার জন্য না খেয়ে কাওয়ার জন্য বাঁচি।
ক.
খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলেন, “আপনি যা খান আপনি তাই।” আজকাল যে জটিল রোগ আমাদের
পিছু নিয়েছে তার একটা বড় কারণ হল কৃত্রিম সার ও কীটনাশক বিষ ব্যবহারের এ
যুগে খাদ্যের আদি বিশুদ্ধতা অনেকটাই হারিয়ে গেছে। তার উপরে রয়েছে নানা রকম
প্রক্রিয়াজাত, ভেজাল মিশ্রিত ও রাসায়নিক উপায়ে সংরক্ষিত যা কখনও টাটকাও
খাঁটি খাবারের সমকক্ষ হতে পারেনা। ফ্রিজে দীর্ঘ দিন রাখা খাদ্যও ক্ষতিকর।
অথচ সুস্থ জীবকোষের জন্য বিশুদ্ধ রক্ত দরকার যা শুধুমাত্র খাঁটি ও টাটকা
খাবার থেকেই তৈরী হয়।
খ.
খাদ্যে একটি গুনগত উপাদান হচ্ছে আঁশ যা অস্ত্রনালী পরিষ্কার রাখে বলে
ক্যান্সার প্রতিরোধ সহজ হয়।গমের আটায় আঁশ থাকে কিন্তু ময়দার আঁশ
থাকেনা।ময়দা একটি প্রক্রিয়াজাত মৃত খাদ্য যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্যান্সারের
সহায়ক। এ রকম আরেকটি প্রক্রিয়াজাত খাবার হচ্ছে চিনি যা হাড় পর্যন্ত ক্ষয়
করতে পারে। সুতরাং ময়দা ও চিনির তৈরী খাবার যত বর্জন করা যায় তত ভাল। একই
সাথে তেল, লবণ ও মশলার ব্যবহার যত কমানো যায় তত ভাল।
গ.
প্রতিদিনের আহার্যের শতকরা ৪০ ভাগ শ্বেতসার, ১৫ ভাগ আমিষ এবং ৪৫ ভাগ
শাকসবজি ও ফল দিয়ে পুরণ করুন। তবে শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য যথা ভাত, রুটি, আলু
ইত্যাদির সাথে ফল খাবেন না অন্তত আধ ঘন্টা পরে খাবেন।শ্বেতসারের সাতে আমিষ
যথা মাছ, মাংশ, ডিম ইত্যাদিও খাওয়া ভালনা। যদিও আমরা তা খেয়ে থাকি।সবজিই
হচ্ছে একমাত্র খাবার যা আমিষ এবং শ্বেতসার উভয়ের সাথেই খাওয়া যায়। দিনে
অন্তত আধ কেজি সবজি খান।সকাল শুরু করুন বেশ খানিকটা কাঁচা পেপে আর ফল
খেয়ে।এত যকৃত ভাল থাকবে। অংকুরিত গম ছোলা মুগ, সিমবীচি প্রভৃতি এবং আটা ও
যবের তৈরী খাদ্য নাস্তা হিসেবে ভাল।শাক,সিম,কপি এগুলো রাতের বেলা পেটে বায়ু
তৈরী করে বলে এগুলো দিনের বেলা খাওয়া ভাল।
ঘ.
আমিষের উৎস হিসেবে ডাল চমৎকার। বিশেষতঃ ছোলার ডাল এবং অংকুরিত ছোলা সব
বয়সের মানব দেহে আমিষের ঘাটতি পূরণ করে এবং বহুমুত্রে ভাল। সেদ্ধ সয়াবীনে
আছে এমন এক উপাদান যা বহুমুত্রে এবং পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থি ও নারীর
জরায়ু রক্ষায় উপকারী। প্রাণীজ আমিষের জন্য মাছ,মুরগীর মাংস ও ডিমের
শ্বেতাংশ ভাল। লাল মাংস অর্থাৎ গরু খাসি ইত্যাদির মাংস উপাদেয় হলেও ক্ষতিকর
চর্বি থাকায় তা অনেক ভয়াবহ রোগের উৎস।
ঙ.
সকালে দাঁত মাজার আগে অন্তত ৬০০ গ্রাম পানি পান করার পর ৪৫ মিনিট পানাহার
বন্ধ রাখুন। এতে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় এবং অম্লতা সহ বহু জটিল রোগ সারে। দিনে
আট-দশ গ্লাস পানি পান করুন। মেযেরা কখনও দাড়িয়ে পানি পান করবেন না, এতে
জরাযুর ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে দুধ,চিনি ছাড়া হালকা চা ভাল।
ডাবের পানিও ভাল, তবে দিনে একটির বেশী নয়। গরমে প্রাণ জুড়াতে লেবুরস জলে
মধু অথবা সামান্য গুড় মিশিয়ে পান করুন এবং কোলা জাতীয় যাবতীয় কোমল পানীয়
থেকে দূরে থাকুন। কারণ স্রেফ মুনাফা লোভী ফরমূলায় তৈরী বাজারজাত এবং
বিজ্ঞাপন দেখানো সুদৃশ্য বোতলে ভরা,প্রচুর চিনি গোলা শরবত ডায়াবেডিকসহ অনেক
বড় বড় রোগের কারন।এগুলোর সাথে এখন ফাস্ট ফুড যোগ হয়ে ফাস্ট ডেথের ভিত্তি
তৈরী করেছে।
চ.
খাওয়ার পরিমান এবং সময়ও গুরুত্বপূর্ন। কখনও পেট পুরে খাবেননা। প্রতিদিন
একই সময়ে খাওযা উচিত। রাতের খাওয়া আটটার মধ্যে চুকিয়ে ফেলা ভাল। কারণ বিকেল
থেকে হজম শক্তি কমতে থাকে।
১২.
রোগ প্রতিরোধক ও পানীয়ের একটি ছোট তালিকা: যব বহুমুত্রে উপকারী, কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক ও মলাশয় ভাল রাখে।গমাঙ্কুর ক্যান্সার প্রতিরোধক। দৈনিক কিছু পরিমান টক দই এবং সবুজ শাকের রস কলমি, থানকুনি লেটুস, তেলাকুচা,পাথরকুচি ইত্যাদি সম্ভব হলে মধু, শুকনা আদা, ত্রিফলা অর্থাৎ শুকনা আমলকি,হরিতকি এবং বহেরার গুড়ো মিশিয়ে পান করলে শরীর সতেজ থাকে।কাচা বেল ফালি করে রোদে শুকিয়ে তৈরী বেল শুট ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে রোজ খেলে পেটের অনেক পুরোনো অসুখ যেমন অজির্ণ, আমাশয় ভাল হয়। কলমি শাক ত্বক ভাল রাখে এবং ঘা সারায়। কচু শাক রক্ত তৈরী ও পরিষ্কার রাখে।থানকনি পাতা পেট, চোখ ও চুল ভাল রাখে। পুদিনা পুদিনা পাতা ফুসফুস, হৃদপিন্ডও পেট ভাল রাখে। আদা বাত ও মাথা ব্যাথা কমায় এবং হজম শক্তি বাড়ায়। আমলকি ভিটামিন সি এর দারুন একটি উৎস। চির তারুন্য ধরে রাখে। কাঁচা হলুদ ভাল রক্ত পরিষ্কারক। কালজিরাকে প্রাচীন কাল থেকেই বলা হয় হাজারো রোগের ওষুধ।স্পিরুলিনা শরীরের ক্ষয় পুরণ এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ অনেক রোগের ওষুধ। রসুন সেদ্ধ পানি সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে।
১৩.
মুখের অপরিচ্ছন্নতা থেকে অনেক রোগ হয়। তাই রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই দাঁত মাজুন এবং মোটামুটি শক্ত বিছানায় ঘুমানোর আগে শবাসন করতে করতে মনের যত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন।
১৪.
এত অল্প কথায় যা বলা হল তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশাল জ্ঞান ভান্ডারের একটি ক্ষুদ্র অংশ। তবে সংক্ষেপে ভালভাবে এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে চিন্ময় সেনগুপ্তের “প্রিটিকন প্রোগ্রাম” বইটি পড়তে পাড়েন। সবারই উচিত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিনিয়ত জ্ঞান বাড়িয়ে ও তা কাজে লাগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখা।
১২.
রোগ প্রতিরোধক ও পানীয়ের একটি ছোট তালিকা: যব বহুমুত্রে উপকারী, কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক ও মলাশয় ভাল রাখে।গমাঙ্কুর ক্যান্সার প্রতিরোধক। দৈনিক কিছু পরিমান টক দই এবং সবুজ শাকের রস কলমি, থানকুনি লেটুস, তেলাকুচা,পাথরকুচি ইত্যাদি সম্ভব হলে মধু, শুকনা আদা, ত্রিফলা অর্থাৎ শুকনা আমলকি,হরিতকি এবং বহেরার গুড়ো মিশিয়ে পান করলে শরীর সতেজ থাকে।কাচা বেল ফালি করে রোদে শুকিয়ে তৈরী বেল শুট ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে রোজ খেলে পেটের অনেক পুরোনো অসুখ যেমন অজির্ণ, আমাশয় ভাল হয়। কলমি শাক ত্বক ভাল রাখে এবং ঘা সারায়। কচু শাক রক্ত তৈরী ও পরিষ্কার রাখে।থানকনি পাতা পেট, চোখ ও চুল ভাল রাখে। পুদিনা পুদিনা পাতা ফুসফুস, হৃদপিন্ডও পেট ভাল রাখে। আদা বাত ও মাথা ব্যাথা কমায় এবং হজম শক্তি বাড়ায়। আমলকি ভিটামিন সি এর দারুন একটি উৎস। চির তারুন্য ধরে রাখে। কাঁচা হলুদ ভাল রক্ত পরিষ্কারক। কালজিরাকে প্রাচীন কাল থেকেই বলা হয় হাজারো রোগের ওষুধ।স্পিরুলিনা শরীরের ক্ষয় পুরণ এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ অনেক রোগের ওষুধ। রসুন সেদ্ধ পানি সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে।
১৩.
মুখের অপরিচ্ছন্নতা থেকে অনেক রোগ হয়। তাই রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই দাঁত মাজুন এবং মোটামুটি শক্ত বিছানায় ঘুমানোর আগে শবাসন করতে করতে মনের যত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন।
১৪.
এত অল্প কথায় যা বলা হল তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশাল জ্ঞান ভান্ডারের একটি ক্ষুদ্র অংশ। তবে সংক্ষেপে ভালভাবে এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে চিন্ময় সেনগুপ্তের “প্রিটিকন প্রোগ্রাম” বইটি পড়তে পাড়েন। সবারই উচিত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিনিয়ত জ্ঞান বাড়িয়ে ও তা কাজে লাগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখা।
No comments:
Post a Comment